আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন। তাই সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১-এর একটি সংকলনের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ রবিবার তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় থাকবেন তত দিন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা করবেন।
নির্বাচন কমিশনের জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার ফল হচ্ছে আজকের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ভুল ভোটার তালিকা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), নির্বাচন কমিশনের আধুনিক অবকাঠামো, জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন আইন, ২০২২ ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ।
আনিসুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে কিন্তু কেউ এই আইন করার সাহস দেখায়নি। দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি যত দিন ক্ষমতায় থাকবেন তত দিন নির্বাচন কমিশনকে এভাবেই সহযোগিতা করে যাবেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রচনা করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁরা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে। ‘
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।